আজ বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ), বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। প্রতিবছরের মতো এবারও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দেশে দিবসটি পালন করা হচ্ছে। বাংলাদেশে এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো—‘বিনিয়োগ করি যক্ষ্মা নির্মূলে, জীবন বাঁচাই সবাই মিলে’।
এছাড়া যক্ষ্মা রোগের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং রোগটি নির্মূলের উদ্দেশ্যে দিবসটি পালিত হয়।
জানা গেছে, বিশ্বের ১০টি মৃত্যুজনিত কারণের মধ্যে অন্যতম যক্ষ্মা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, যক্ষ্মায় প্রতিদিন বিশ্বে চার হাজার মানুষ মারা যায় এবং ৩০ হাজার আক্রান্ত হয়। তবে বৈশ্বিক প্রচেষ্টায় ২০০০ সাল থেকে ৫৮ মিলিয়ন মানুষের জীবন রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।
যক্ষ্মায় আক্রান্তের সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সর্বাধিক রোগীর ৩০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি।
১৯৯৩ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যক্ষ্মাকে ‘গ্লোবাল ইমার্জেন্সি’ ঘোষণা করার পর থেকেই বাংলাদেশ সরকার এবং কিছু বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশে যক্ষ্মার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি গুরুত্বের সঙ্গে পালন করছে। সরকার দেশের সব নাগরিকের জন্য বিনামূল্যে যক্ষ্মা রোগ শনাক্তের কাজ ও চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছে।
এদিকে যক্ষ্মা নির্মূলে এবং যক্ষ্মার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম আরও জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
১৮৮২ সালে ২৪ মার্চ ডা. রবার্ট করু যক্ষ্মা রোগের জীবাণু মাইক্রোব্যাটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস আবিষ্কার করেন। যক্ষ্মা রোগের জীবাণু আবিষ্কারের ১০০ বছর পর ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ দিনটিকে স্মরণীয় করা ও যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে গণসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতিবছর এ দিনটিকে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।